ব্যস্ততম একটি দিন।
source
আজকের দিনটি ছিলো আমার বিশ্ববিদ্যলয় জীবনে অন্যতম ব্যস্ত একটি দিন, যার সমাপ্তি হয় ভালো কিছু মূহুর্তের মাধ্যমে।
দিনের শুরুটা হয়েছিলো একটি পরিক্ষার অংশগ্রহনের মাধ্যমে, যেটা ছিলো দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় পর স্বশরীরে ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে কোন পরীক্ষা। এটা ছিলো আমার সবচাইতে অপছন্দের একটি বিষয়, তার উপর প্রস্তুতি তেমন ভালো ছিলোনা। তাই বারতি প্রেশার আমার মধ্যে কাজ করতেছিলো। আমার পরীক্ষা শুরু হওয়ার সময় নির্ধারন করা হয় সকাল নয়টায়, যা ছিলো সবচাইতে বিরক্তকর একটা সময়। আগের রাত জেগে পড়াশোনা করে এতো সকালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা ছিলো অনেকটা কষ্টের ব্যাপার। তার মধ্যে এখন প্রায় শীতকাল এসে পড়েছে।
অনেক কষ্টে সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠে পরি আমি। এ ক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছিলো আমার মোবাইলে সেট করে দেওয়া এলার্ম। ঘুম থেকে উঠেই হালকা ফ্রেশ হয়ে বশে পড়ি পড়ার টেবিলে। প্রায় আধাঘন্টা শিটগুলো একটু ঘাটাঘাটি করে নেই আমি। তারপর হালকা নাস্তা সেরে তৈরি হয়ে বেরিয়ে পরি ক্যাম্পাসের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষন পর আমাদের পরিক্ষা শুরু হয়ে যায়, কিন্তু প্রশ্ন দেখে আমার মনটা প্রায় ভেজ্ঞেই যায়। প্রশ্ন দেখে মনে মনে ভাবতেছিলাম, “ সারারাত পড়লাম কি, আর পরিক্ষায় আসলোই বা কি! যা অনেকটা এরকম ছিলো যে , “ সারারাত মারলাম সাপ আর সকালে উঠে দেখি দড়ি"। দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে খাতা জমা দিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে আসি আমি।
পরীক্ষার পরে শুরু হয় প্রাকটিকাল ক্লাসের প্যারা। আজকে আমাকে তিনটা ল্যাব ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে হয়। প্রথমে ইয়ার্ন ল্যাব, তারপর ফ্রেবিক এবং সন্ধ্যায় ওয়েট প্রসেসিং ল্যাব। একে একে সবগুলো প্রাকটিকাল ক্লাসে অংশগ্রহণ করে পুরু হাপিয়ে উঠি আমি। তার উপর ল্যাব রিপোর্ট এবং ল্যাব পারফরম্যান্স তৈরি করতে হয় আমার। সন্ধ্যা সাতটায় শেষ হয় আমার আজকের ক্লাস শিডিউল যা ছিলো করোনার পর সবচাইতে ব্যস্ততম একটি দিন।
সারাদিন ব্যস্ততার পর বন্ধু সৌরভ বললো আজকে আমাদের ট্রিট দিবে। তা শুনে আমরা ত মহাখুশি। ক্লান্তিকে হার মানিয়ে বেরিয়া পড়ি কাচ্চি খাওয়ার উদ্দেশ্যে। খাওয়া-দাওয়ার পর আড্ডা দিয়ে পূনরায় বাসায় ফিরে আসা হয় আমাদের। বন্ধুরা মিলে কিছু- সময় আড্ডা আমাদের সারাদিনের ক্লান্তিটাকে মুছে দিয়েছে।