" হোস্টেল জীবন "
সবেমাত্র শিমুল মাধ্যমিক পাশ করে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হয়েছে। বাসা থেকে অনেকটা পথ দূরে তার কলেজের অবস্থান । তাই সে থাকার সুবির্ধাতে কলেজ হোস্টেলে উঠবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে । বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান শিমুল, ছোটবেলা থেকেই তার আদর - যত্নের কমতি ছিলোনা। কখনও বাবা-মাকে ছেড়ে দূরে গিয়ে থাকা হয়নি তার। খুব কাছের আত্মীয়-স্বজন আর নানা বাড়ি ছাড়া তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি কখনোও। সবসময় নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গায় থেকেছে সে। তাই তার জন্য হোস্টেল জিবনটা অপেক্ষা করছিলো নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ হিসেবে ।
একদিন শিমুল এবং তার বাবা গিয়ে হোস্টেলে একটি রুম ঠিক করে আসে। কলেজের একেবারে কাছে অবস্থিত “ জুলফিকার আলী ” ছাত্রাবাসে উঠবে সে। হোস্টলের পরিবেশটা ছিলো অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম। টিনের তৈরি দেয়াল আর পাকা ফ্লোর যার সামনে ছিলো বিশাল এক পুকুর। চারপাশ ছিলো বিভিন্ন রকমের গাছপালা দিয়ে পরিপূর্ন আর পাশেই এক বিশাল খেলার মাঠ। গ্রামীণ পরিবেশে এর থেকে সুন্দর হোস্টেল আর হয় না। হোস্টেলের পরিবেশ দেখে খুব মুগ্ধ হয় শিমুল।
বাসায় ফিরে হোস্টেলে উঠার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেয় শিমুল। তার বাবা-মা তার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গোছানো শুরু করে। শিমুল ও মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। একদিকে তার মধ্যে আনন্দ কাজ করতে থাকে আর অন্যদিকে পরিবার ছেড়ে দূরে থাকার ভয়। সে কি পারবে নিজেকে মানিয়ে নিতে? তার জন্য খুব বরো একটা চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছিলো।
কিছুদিন পর সে হোস্টেলে উঠে পরে। তার বাবা তার প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র দিয়ে যায়। আজকেই তার হোস্টেল জিবনের প্রথম দিন। সে তার থাকার বিছানা, টেবিল ও প্রয়োজনীয় মালামালগুলো গুছিয়ে নেয়। তার রুমে সে সহ মোট চারজন। একজন তার সহপাঠী আর বাকি দুইজন কলেজের বড়ো ভাই। ভাইয়েরাও তাকে তার কাজে সাহায্য করে। হোস্টেলে নতুন ছাত্ররা উঠায় আজকে পরিচিতি পর্ব এবং খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
সে খুব নার্ভাস ফিল করছিলো । সব-অপরিচিত মানুষ, অপরিচিত যায়গা । রাতে সবার সাথে সেও পরিচিতি পর্বে অঅংশগ্রহণ করে। তারপর খাওয়াদাওয়া শেষে ক্লান্তি দূর করতে ঘুমিয়ে পরে সে। এভাবে কেটে যায় কয়েকদিন। এখন তার কয়েকটা বন্ধু হয়েছে৷ রুমমিট রাকিব তাকে সব বিষয়ে সাপোর্ট দেয়, সাথে তো বড় ভাইয়েরা আছেই। পরিবারের ঘাটতি বুঝতে দেওয়া বন্ধুগুলো। এখোন যেন নতুন একটা পরিবার হয়ে গেছে। সবার সাথে একত্রে খাওয়া, পুকুরে গোসল করা আর বিকেলে খেলাধুলা করা খুব উপভোগ করাছিলো সে। কলেজেও এখন তার কোন সমস্যা হয়না। আর বন্ধুরা একত্রে মিলে পড়ালেখা ভালোই চলছে তার।
এখন বাড়ি গেলে সে চিন্তায় থাকে কখন আবার হোস্টেলে ফিরে যাবে। কখোন আবার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিবে। নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে ভালোই মানিয়ে নিয়েছে সে সবকিছুর সাথে। এখন শুধু সে হোস্টেল জীবনের প্রতিটা দিন উপভোগ করতে চায়। ভালোই চলে যাচ্ছে তার হোস্টেল জীবন ।
Congratulations @fa-him! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 300 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Check out the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!