বিকেলের নাস্তা: নুডুলস আর চা।
দিন দিন অলসের রানি হচ্ছি! বাবা -মা মধ্য দুপুরে বের হয়েছেন টুকটাক কেনাকাটা করার জন্য!বাসায় একা।তাই আম্মু যাওয়ার সময় দুপুরের খাবার টেবিলে সযত্নে সাজিয়ে রেখে গেছেন।একা একা খাওয়াটা বেশ বিরক্তিকর। তা সত্তেও গেলাম খাবারের টেবিলের সামনে।ভাত, মাছ, শাক, ডাল!কেন জানি ওভাবে পছন্দ হলো না।হয়তো বা অতিরিক্ত গরমের জন্য রুচির ভিন্নতা এসেছে। ভারি খাবার থেকে লেবুর শরবতটাই ভালো।তাই ভরদুপুরে খাবারের ইচ্চাটাই উবে গেল! কিছুক্ষণ বই খাতা নাড়াচাড়া করে, চাকরির জন্য উদগ্রীবতা বেশ কিছুক্ষণ ভাবিয়েই তুললো আমাকে!তারপর সোজা বিছানায়।
লম্বা একটা ঘুম শেষে উঠলাম বিকেলে।ততক্ষণে পেট জানান দিলো প্রচন্ড ক্ষুধার কথা।ভাবলাম নিজে নিজেই কিছু একটা রান্না করে ফেলা যায় কিনা।প্রথমেই ভাবলাম ঘরে কি আছে সেটা দেখতে হবে! আসলে সব সময় যে আয়োজন করে রান্নাবান্না করতে হবে, সেটায় আমি বিশ্বাসী না।ঘরে যা আছে তা দিয়েই কিছু বানানো পুরোনো অভ্যাস!যাই পাই দিয়ে নিজের যা ইচ্ছের প্রাধান্য দিয়ে কাজ করা। তাছাড়া মাথা টা ও ঝিম ঝিম করছে,তাই চা আবশ্যক!চা খাওয়াতে আমাদের আবার বেশ আভিজাত্য। তাই আম্মুর হাতের চা ছাড়া বাইরে কোথাও চা খেয়ে তাই শান্তি ও পাই না।আম্মুর মতো অত ভালো না হলেও, আমার চলে যায়!তাই এলোমেলো পায়ে এগিয়ে গেলাম রান্নাঘরে, গিয়েই প্রথমে চায়ের পাতিলে পানি দিয়ে, চুলায় আগুন জ্বালিয়ে বসিয়ে, সেটা বসিয়ে দিলাম।এবার রান্নাঘরে র্যাকে পেলাম নুডুলস এর প্যাকেট। তারপর হানা দিলাম ফ্রিজে।ভাবলাম সেখানে যা যা পাবো তা দিয়েই বানিয়ে ফেলবো।
অবশেষে নিরাশ ও হলাম না, সেখান থেকে একে একে, দুইটি ডিম,ক্যাপসিকাম, টমেটো, গাজর, পনির, কাচামরিচ পেয়ে গেলাম।বেশ ভালো উপাদানই পেয়ে গেলাম ভেজিটেবল নুডুলস বানানোর জন্য।মনটাও চাঙা হয়ে গেলো।এবার কিছু পেয়াজ নিয়ে গেলাম রান্নাঘরের দিকে।
প্রথমে পেয়াজ কেটে কুচি কুচি করলাম, সাথে মরিচ, ক্যাপসিকাম,টমেটো। আর গাজরকে করলাম মিহি কুচি।নুডুলসে গাজর মিহি কুচি ছাড়া না দিলে, স্বাদটা অত ভালো লাগে না আমার। কাটাকাটি পর্ব শেষ হওয়ার পরে, নুডুলসগুলো সিদ্ধ করার জন্য আরেক চুলায় পানি গরম দিলাম।পানিতে, পরিমানমত লবণ আর সামান্য একটু তেল দিলাম, এতে নুডুলসগুলো পরস্পরের সাথে লেগে যাবে না।পানি গরম হওয়ার পর, সব গুলো নুডুলস দিয়ে দিলাম।৫ মিনিট রান্না করে তারপর নামিয়ে ঠান্ডা পানি দিতে হবে।এতে নুডলসে ঝরঝরে ভাব টা থাকে।
এবার কড়াইতে তেল দিলাম,তেল গরম হওয়ার পর তাতে পেয়াজ কুচি দিলাম।হাল্কা বাদামি রঙ হলে তা এক পাশে রেখে, তেলে ডিম দিয়ে তা ঝুঁড়ি করে নিলাম,এবার একে একে টমেটো কুচি,গাজর, ক্যাপসিকাম দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকলাম।এবার ২ টেবিল চামচ সয়াসস আর গোলমরিচগুঁড়ো আর লবন দিয়ে তাতে সিদ্ধ নুডুলসগুলো দিয়ে দিলাম।সব উপাদান যতক্ষন ভালোভাবে না মিশবে, ততক্ষণ নাড়তে হবে।টমেটোর লাল, ক্যাপসিকামের সবুজ আর গাজরের কমলা সব মিলিয়ে দেখতেও বেশ সুন্দর হলো।
আব্বু- আম্মুর আসার সময় ও হয়ে এসেছে।দেখে একটু চমকেও উঠতে পারে! তাদের আলসে মেয়ের রান্না দেখে! এইদিকে আমার চায়ের পানিও ফুটে উঠেছে! তাতে লিকার দিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করে, দুধ আর চিনি দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করলাম, আলসে বিকেলের, আমার পছন্দের সবজি নুডুলস আর চা ঃ)
Congratulations @rodmila! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 50 comments.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz: