Book Review: Megh Boleche Jabo Jabo(মেঘ বলেছে যাব যাব।)

avatar
(Edited)

Name of the book: Megh Boleche Jabo Jabo(মেঘ বলেছে যাব যাব।)

Name of the writer: Humayun Ahmed

Category of the book: Novels

Publisher of the book: Oboshor

Date of first publish: June 1997


"মেঘ বলেছে যাব যাব।
আকাশের মেঘেরা কি কথা বলে?
তারা কি যেতে চায় কোথাও?
তারা কোথায় যেতে চায়?
সব মানুষের ভেতরই কি তাহলে এক টুকরা মেঘ ঢুকে আছে, যে কেবলি কোথাও যেতে চায়?"


খুব ছোটবেলায় হুমায়ূন আহমেদ এর একটা বই পড়েছিলাম,বইটির নাম "আজ আমি কোথাও যাব না"।এত সুন্দর একটা গল্প.....যেন বাস্তব!....... মনের ভিতরে এর রেশ থেকে যায় !ওই সময়ে ওই বই টি দিয়েই আসলে আমার হুমায়ূন প্রেমের শুরু।

করোনার জন্য বাসায় থাকতে হচ্ছে! পুরোনো বইপ্রেম আবার নাড়াচাড়া দিয়ে উঠেছে! তো এক বন্ধুর কাছ থেকে বইয়ের একটা লিস্ট চাইলাম।ও কিছু নাম দিল,তার মধ্যে অবশ্য বেশির ভাগই পড়া। তো মেঘ বলেছে যাব যাব টা পড়া হয়নি ! প্রায় ৩০০ পাতার একটা বই! প্রথমেই আলসেমি লাগছিলো, কাজ নেই তাই অনিচ্ছা সত্তে ও পড়া শুরু।


একটা অপরিণিত ভালোবাসার গল্প ! গল্পটা হাসান আর তিতলীর।

শুরু টা শুরুর মতোই। দুইটা পরিবারের হাজার ও চরিত্র এর মিলনমেলা! হাসান পরিবারে ছোট ছেলে।মা -বাবা, ভাই -ভাবী ও তাদের দুই ছেলে আর বোন। আর তিতলীরা তিন বোন আর তাদের মা বাবা । অনেক বিচিত্র চরিত্র এর ছড়াছড়ি! সবারই নিজস্ব জীবন আর জীবনের গল্প ভিন্ন! শুধু দূরে থেকে আপনি যাকে যেভাবে ভাবছেন, হয়তো আসলে সে তার নিজের জীবনে ভিন্ন কোন মানুষ।

আগের ভালোবাসা গুলো ছিলো খুব সিন্গ্ধ! বইয়ের সবচেয়ে যে ব্যাপারটা ভালোলেগেছে সেটা হলো চিঠি লেখা! হাসান তিতলীর দেখা হলে, তারা দুইজন দুইজনকে চিঠি দিত :) মজার না অনেক?
পড়তে পড়তে বইয়ের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছিলাম! আর অনুভব করছিলাম প্রত্যেকটা চরিত্র কে ।হাসান - তিতলীর বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঘুরতে যাওয়া, তাদের দেখা হওয়া,তাদের পারিবারিক কলহ! তাদের ভালোবাসায় হয়তো অনেক আড়ম্বরতা নেই কিন্তু গভীরতা ছিলো!

আচ্ছা হিশামুদ্দিন সাহেব আর তার মেয়ে চিত্রলেখারর কথা কি বলেছি আমি? না মনে হয়! অন্যতম প্রধান চরিত্র তারা। হিশামুদ্দিন সাহেব অত্যন্ত বিত্তবান। টিউশন করানোর পাশাপাশি হাসানের অন্যতম কাজ হলো তার জীবনী লেখা।হিশামুদ্দিন সাহেব তার জীবনের কঠিন অতীতকে ভালোবাসার মিথ্যা মিশিয়ে হাসানকে বলতেন।হাসান সেটা শুনতো আর খাতায় লিখতো।কোন এক কারনে হাসানকে তার ভাললেগেছিল তার মেয়ের চিত্রলেখার জন্য !


গল্পটা চলছিল গল্পের মতো করেই।হঠাৎ ছন্দপতন! একদিনের কথা! তিতলী সারাদিন হাসানের সাথে ঘুরে বাসায় ফিরেছিল। ঐ রাতেই তিতলীর বিয়ে হয়ে যায় অচেনা এক ছেলে সৈকতের সাথে!!! তার বলার কিছুই ছিল না!

পরেরদিন হাসান এমনি আসে তাদের বাসায় ,তখনো সে জানে না তার ভালোবাসা হেরে গেছে পৃথিবীর কঠিন বাস্তবতার কাছে...!

গল্পের এখানে এসে এমনভাবে থমকে গেছি আমি !!! সাথে সাথে আমি আমার তিতলীকে ফোন দিয়ে বলেছি, আমার শুরুতে তুমি ছিলে, শেষে ও তুমি ই থাকবে,মাঝে যত ই বাধা আসুক না কেন?! একটা ক্ষুদ্র সময়ের জন্যে ও আমার হাতটা ছড়বে না! !!
এক খন্ড ভালোবাসার মেঘ না ছুয়ে ছিলো তিতলী - হাসান, না ছুঁয়েছিলো হাসান - চিত্রলেখাকে!মেঘগুলো শুধু ঢেকে ফেলেছিলো তিতলী আর তিতলীর বর সৈকতকে!

শেষে শুধু একটা কথাই মনে হয়েছে ,কিছু কিছু বই থাকে, যেটা পড়ার স্মৃতি মানুষ কখনোই ভুলতে পারে না।যেমন আমি এই বইটি মনে রাখবো!

“অতীত নিয়ে সবসময়ে পড়ে থাকলে তোমার এক চোখ অন্ধ; অতীতকে ভুলে গেলে তোমার দুই চোখই অন্ধ।”
– বিখ্যাত রাশিয়ান প্রবাদ।

Photo credit goes to Canva.com


Thanks for reading and getting here, see you in the next post. You can give me feedback by commenting below. Your feedback will be an inspiration for me. If you haven't joined the Splinterlands yet, you can Here.


Love

@linco

Find me on Twitter
You can also watch other Vlogs:

Beautiful Nepal:The Journey begin.
Beautiful Nepal: Finally, we reached our destination.




0
0
0.000
4 comments
avatar

অপরিনিত ভালোবাসার গল্প গুলো হৃদয়কে কাঁপিয়ে তুলে।

গল্পটা চলছিল গল্পের মতো করেই।হঠাৎ ছন্দপতন! একদিনের কথা! তিতলী সারাদিন হাসানের সাথে ঘুরে বাসায় ফিরেছিল। ঐ রাতেই তিতলীর বিয়ে হয়ে যায় অচেনা এক ছেলে সৈকতের সাথে!!! তার বলার কিছুই ছিল না!

আহা! ভালোবাসা।।

0
0
0.000
avatar

এই বইটা গতবছর পড়ে শেষ করেছিলাম। হুমায়ূন আহমেদ আমার পছন্দের লেখকদের মাঝে অন্যতম।

0
0
0.000