Diary of Apu ( অপুর ডাইরি)
ইহ জগতের সকল চাও য়া পাওয়া গুলো দিন দিন শেষ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে যদি দূরে কোথাও চলে যেতে পারতাম। এই জগত সংসারের মায়াজাল ছিন্ন করে গুনদেশান্তরি হতে পারতাম। যাইহোক অপুর মনটা আজ বড্ড খারাপ।
photo credit Canva.com
অপুরা তিন ভাই, বড় ভাই বারি ছেড়েছে বহুদিন, ছোট ভাইটা সবে কলেজে পড়ছে। সংসারে বাবা মা আর আছে এক চাচাত এক বোন, এই নিয়ে অপুর ছোট্ট সংসার।
অপু ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছে নানা অভাব অনটন দেখে। অপু সাধারণ মধবিত্ত পরিবারের মেজো ছেলে, সেই ছোট্টবেলা থেকে অনেক সপ্ন নিয়ে জীবন যুদ্ধে এগিয়ে চলেছে। কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন। পতিনিয়ত সে পেয়েছে বাধা, অবহেলা। কিন্তু তাই বলে সে সপ্ন দেখা বন্ধ করেনি, বরং প্রতিবার দিগুন উদ্দোমে সে ছুটে চলেছে..
সংসারে উপার্জন ক্ষম বলতে সে আর তার বাবা, যদিও সে চাকরি নামক আশ্চর্য প্রদিপ এর দেখা এখনো পাইনি। দু-তিনটে টিউশনি করে চলে যাচ্ছে কোনরকম। কিন্তু এভাবে আর কতদিন...
বাবা সরকারি চাকরিজীবী, চাকরির বয়স ও শেষ হয়ে আসছে। বাড়ির বড় ছেলে বিয়ে করে নিজের মত দিব্বি দিন কাটাচ্ছে, যদিওবা মাঝেমধ্যে তার দেখা পাওয়া যাই কিন্তু এ দেখা না হলেই মনে হই বেশি ভাল হত।
দেখতে দেখতে অপুর পড়ালেখাও শেষ প্রায়, এখন দুনিয়ার সব বোঝ যেনো তার ঘাড়ে। টিউশনিও আর কত করা যাই, আগে না হয় দু-তিন খানা করত এখন পাঁচখানা করাই। সেই সকালে বের হই আর ফিরে সসন্ধেবেলা, আসার পর দু-মুঠো খেয়ে চাকরির পড়া পড়তে বসে যাই। সারাদিন নিজেকে নিয়ে ভাবার সময়টুকু তার নেই।
মাসের শেষ, টিউশনির বেতন এর অপেক্ষা, আপুর এই সময়টা খুব ভালোলাগে মনে হয় জীবনটা রঙিন। মাসের টাকাটা হাতে পেয়ে সে সবার আগে চলে যায় খালার দোকানে ধুম্র শলাকা জালিয়ে খুব ডাটের সাথে চায়ের কাপে চুমুক দেই, সে যেন পৃথিবীর সব সুখী মানুষদের একজন। চায়ের দোকানটাতে অপুর প্রাই আসা হয়, বাড়ি থেকে খুব একটা দূরে নই মিনিট দশেক লাগে বড়োজোর।
বাড়ি ফিরার সময় হয়ে গেছে, ঝটপট বিলটা দিয়ে সরু গলি দিয়ে হাটতে আরম্ভ করে বাড়ির উদ্দেশ্যে। বারিতে ফিরে হাতমুখ ধুয়ে রাতের খাবার টা খেয়ে বসে যাই গল্পের বই নিয়ে, গল্প যখন মাঝপথে হঠাত মার ডাক পরে, মা বলে তোর বাবা ডাকছে, অপুর বুজতে কস্ট হই না বাবার হঠাত সরণের কারন, সে পকেট থেকে টিউশনির টাকা থেকে কিছু পয়সা আলাদা করে বাকিটা নিয়ে চলে যায় বাবার সাথে দেখা করতে। বাবার হাতে টাকাটা টুলে দিল ঠিকই কিন্ত কেনো যেন বাবার মুখখানা দেখে মনে তৃপ্তি পেলো না।
মাথার মধ্যে কি সব ঘুরপাক খাচ্ছিলো, সে তরিঘরি করে বাহিরে বেরিয়ে পড়ল, খালার চায়ের দোকানটা খোলাই আছে, দোকানে পৌছে সিগারেট টা জালাতে দেরি হল না, রাত ১০:৩০ টা এসময় দোকানে খুব একটা কাস্টমার থাকে না। খালাকে একটা করা করে চায়ের অডার দিয়ে অপু ভাবতে শুরু করল, কবে মুলবে মুকতি , ঠিক কবে? এ প্রশ্নের উত্তর হয়ত কোনদিন হয়ত মিলবে, হয়ত কোনদিনই মিলবেনা, কিন্ত জীবন তো থেমে নেই চলছে নিজের গতিতে…
Thanks for reading and getting here, see you in the next post. You can give me feedback by commenting below. Your feedback will be an inspiration for me. If you haven't joined the Splinterlands yet, you can Here.
Love
Find me on Twitter
You can also watch other Vlogs:
Beautiful Nepal:The Journey begin.
Beautiful Nepal: Finally, we reached our destination.
This post has been promoted on twitter- https://twitter.com/Linco37836870/status/1281915029709717505
Mama.....সেরা মামা সেরা লেখা দিছ😍
ধন্যবাদ ভাগনে।
Congratulations @linco! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You can view your badges on your board And compare to others on the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Do not miss the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
ভাই অপুর সাথে আমার জীবনের কিছু অংশের মিল রয়েছে। আমরাও তিন ভাই, আমি মেজো। বাকিগুলো আর নায়ি বলি। তবে, কথাগুলো একটু পড়ে ভিতরে একটু নাড়া দিলো।
ভাল লাগল আপনার কথা শুনে। আমার বাংলা লেখার আভ্যাস একদমই নেই বললেই চলে। তাও চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলা লিখার অভ্যাস না থাকলেও বাংলা বলার অভ্যাস টা সুন্দর আপনার। অনেক সুন্দর উপস্থাপন।
এই মুক্তির খোঁজে অনেকেই। আসলেই মুক্তি কবে মিলবে?
এ মুক্তি মিলবে কবে কারো জানা নেই, চলছে জীবন আপন গতিতে...
সমাজে এই অপুদের সংখ্যা অনেক। জীবনটা আসলেই যুদ্ধ ক্ষেত্র।