ইচ্ছের বিরুদ্ধে কিছুই সম্ভব নয়।
প্রায়ই একটা বিষয় খেয়াল করি যে,লিখতে বসলে লিখতে পারছি নাহ,কেমন যেনো একটু পরই ছন্দ হারিয়ে ফেলছি অথবা লিখার ইচ্ছা টা হারিয়ে ফেলছি। যে লিখাটি শুরু করেছি সেটির আর সমাপ্তি ঘটাতে পারেনি। আমার ফোনের নোটপ্যাড এর মধ্যে এরকম অনেক অসম্পূর্ণ লিখা আছে যেগুলোর শুরু রয়েছে কিন্তু শেষ নেই। এখনও লিখতে বসেছি, সমাপ্তি টুকু আসবে কিনা জানা নেই তবে ইচ্ছে হলো তাই শুরু করলাম। একটু আগে রক্তদান করে আসলাম হাতে একটু ব্যাথা হচ্ছে,তাও লিখতে ইচ্ছে করছে তাই লিখতেছি। মাঝে মাঝে এমন হয় যে আমাকে এখন লিখতে হবে। এখন লিখায় ইচ্ছেটা এত প্রবল যে আমি জানি আমি এখন এই মুহুর্তে না লিখলে সেই লিখাটি আর খুজে পাওয়া যাবে নাহ। সেটিও অসমাপ্ত রুপে পরে থাকবে বাকি লিখা গুলোয় মাঝে। কিন্তু তা কি হয়ে দেওয়া যায়? ইচ্ছের পূরণ করা উচিত তাতে বিলম্ব হলেই সমস্যা।
অনেক সময় এমন হয় যে অনেক সময় পার হয়ে গেছে যাই কিছু লিখি বা আজকে লিখা প্রয়োজন কিন্তু তাতে বাধ সাজে সেই ইচ্ছেটুকু।সে যে আমার সঙ্গে নেই আজ তা আমি কিভাবে লিখবো? প্রায়শই আমি এই যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধ শুধু লিখার ক্ষেত্রেই নয়। আমাদের বাস্তবিক জীবনেও অনেক ক্ষেএে এর প্রয়োগ দেখা যায়। যেকোনো কাজেও ইচ্ছে সায় না দিলে তাতে সফলতা পাওয়া যায় নাহ, পেলেও অনেকক্ষেত্রে মনের সন্তুষ্টি পাওয়া যায় নাহ।
আমি প্রায়শই অন্যের কথায় অনেক কিছু করার চেষ্টা করি, তবে শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সেক্ষেত্রে কাজটিতে সন্তুষ্টি পাওয়া যায় নাহ। আমাদের জীবনেও আমরা সর্বক্ষেত্রে আমাদের মনের কথামতো চলা উচিত। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করলে তাতে আপনি সফলতার যে তাড়না সেটি পূর্ণ রুপে পাওয়া যায়না। আমার প্রায়ই জুনায়েদ ইভান এর একটি গান শোনা হয় যেখানে একটি লাইন আছে- "মনের বিরুদ্ধে কি নিজেরে দেওয়া যায় রে।" অর্থাৎ কোনো কাজেই যতক্ষণ নিজের মন থেকে সায় না আসবে আপনি ততক্ষণ কিছুই করতে পারবেন নাহ। হোক সেটা অন্যের কোনো উপকার অথবা নিজের কোনো কাজ।
তাছাড়া সব কাজেই আমাদের নিজেদের একটি সুবিধা এবং স্বাচ্ছন্দ্যর জায়গা আছে,যে জায়গাটিতে আমরা সবাই কাজ করতে ভালোবাসি। তার হেরফের হলেই বাধা আসে। তবে আমাদের উচিত সবকিছুতেই নিজেদের ভালোলাগার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া। যেটির প্রতি আমাদের মনের সায় নেই সেসব বিষয় এড়িয়ে চলা। ব্যাক্তিগতভাবে আমি বিশ্বাস করি যে মনের মতো কাজ করে ব্যার্থতা আসলেও সমস্যা নেই। সন্তুষ্টি আছে যে আমি আমার নিজের কথা শুনেছি আমার নিজের মনকে প্রাধান্য দিয়েছি আমার নিজেকে প্রাধান্য দিয়েছি। আজকে ব্যর্থতা এসেছে সমস্যা নেই কাল নিশ্চয় সাফল্য আমাকে ধরা দিবে। Always listen to your heart,it will never betray you. ইয়েপ,ইটস ট্রু, মন কখনো ঠকায় নাহ,তবে এটা সত্য যে মন মাঝে মাঝে আমাদের কিছু ভুল ও করায় সেক্ষেত্রে মনের সঙ্গে আমাদের মস্তিষ্কের ও সাড়া শুনতে হবে। সবমিলিয়ে এটায় বলবো যে ইচ্ছেটা আমাদের মূল জিনিস, যথাসাধ্য চেষ্টা করবো যেন একে প্রাধান্য দিয়ে জীবনের দৌড়ে এগিয়ে যেতে পারি।
You are right..if your mind was not set for any work..then Then you should not do that work.
Yeah that's true, thanks for reading and giving your opinion. Have a nice day!
একমাত্র ইচ্ছেশক্তি মানুষকে সফলতার ধারে পৌঁছে দেয় যদি সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। ইচ্ছাশক্তির বিরুদ্ধে কাজ করলে ,সেই কাজে আনন্দ কিংবা সফলতা কোনটাই পাওয়া যায় না। বরং দেহের কষ্ট পাওয়া যায়। মনের তৃপ্তি পাওয়া যায় না। আর যে কাজে মনের তৃপ্তি নেই, সেই কাজে সফলতা ও নেই।
হ্যা এটাই।তৃপ্তি ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব নয়।তাইতো সকল কাজের আগে মনের একটা সম্মতি প্রয়োজন হয়।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে লিখাটি পড়া এবং মতামত প্রদানের জন্যে।
কথাটি ঠিক বলেছেন ভাই।মনের বিরুদ্ধে কিছুই সম্ভব না।এজন্য সবাই বলে ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়।নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করা সম্ভব নয়।তাই সবসময় মনের কথা শোনা উচিৎ।পোস্টটি পড়ে ভালো লেগেছে।অনেক সুন্দর ব্লগ লিখেছেন ভাই।❤️💖
হ্যা হ্যা,ইচ্ছা থাকলে আসলেই উপায় হয়। ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে কিছুই সম্ভব নয়।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে লিখাটি পড়া এবং মূল্যবান মতামত দেওয়ার জন্য।