বিথীর জাফলং ভ্রমণ কাহিনী...
বিথী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার ভাই তপন নবম শ্রেণিতে পড়ে। দুই ভাই বোনের মধ্যে অনেক মিল। তারা উভয়ই একই স্কুলে পড়ে এবং একসাথে স্কুলে যায়। তাদের বাবা-মা উভয়ই পেশায় চিকিৎসক। বিথী ও তার ভাইয়ের সারাবছর সময় কাটে লেখাপড়ার মধ্যে দিয়ে আর অপরদিকে তার বাবা-মার সময় কাটে কর্মব্যস্ততায়।
বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বিথী একদিন বায়না ধরল যে সে এই বন্ধের মধ্যে বেড়াতে যেতে চায়। তাই সে রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর তার বাবা-মাকে তাজমহলে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলল। যা সপ্তআশ্চর্যের অন্যতম একটি। তাজমহলের কথা শুনে সবাই অনেক খুশি হলো। কিন্তু তার বাবা বলল," আমাদের দেশেই ত ঘুরতে যাওয়ার অনেক জায়গা আছে।" তারপর তিনি এদেশের কিছু দর্শনীয় স্থানের বর্ণনা দিলেন।
তারপর তিনি সবাইকে নিয়ে সিলেটের জাফলং এ ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন। সেই জায়গা সম্পর্কে কিছু বর্ণনা দিলেন এবং অনেকক্ষণ গল্প করার পর যে যার যার মতো ঘুমিয়ে পরল। কিন্তু বিথীর মন কিছুটা খারাপ ছিল। কারন সে যেতে চেয়েছিল তাজমহলে আর তার বাবা জাফলং নিয়ে যাওয়ার কথা বলল। তাই সে মন খারাপ করে বিছানায় শুয়ে থাকল। হঠাৎ সে তার বাবার কথা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে পরল।
ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে সে তার বাবার বর্ণনা দেওয়া জাফলং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনুভব করতে লাগল। ঘুমের মধ্যে সে জাফলং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে পেল। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে জাফলং অবস্থিত। সেখানে সে কিছু খাসিয়া উপজাতিও দেখতে পেল। তারা সবার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করছে। সেখানে সবুজ প্রাকৃতিক অরন্যের রুপে সে মুগ্ধ হয়ে রইল।
পিয়াইন নদীর তীরে স্তরে স্তরে সাজানো পাথরের স্তুপে বসে সে জলপ্রপাত দেখতে লাগল। স্বচ্ছ পানিতে সে খেলা করল এবং আকাশে যখন সাদা মেঘের ভেলা ভেসে যাচ্ছিল তখন সে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তাকিয়ে তা দেখছিল। সে প্রজাপতির সাথে খেলা করল এবং সেখানকার খাসিয়াদের কর্মব্যস্ত ও পরিশ্রমী জীবন দেখল। বিথী তার পাঠ্যবইয়ে খাসিয়াদের সম্পর্কে পড়েছিল। তাই সে তাদের জীবনধারার খন্ডচিত্র অনুভব করল। পাখির কিচিরমিচির শব্দে সে আকাশের পানে চেয়ে রইল। এ যেন এক রুপকথার রাজ্যের মতো। হঠাৎ সকালে তার মা তাকে ডাক দিল এবং তার ঘুম ভেঙে গেল।
সকালে তার মন অনেক ভালো হয়ে গেল। সে বুজতে পারল তার বাবার কথাই সত্য, নিজ দেশে ঘুরতে যাওয়ার অনেক সুন্দর জায়গা আছে। আর নিজের দেশের অনেক অপরুপ দৃশ্য তার অদেখা ও অজানা।সকল দেশের চেয়েও মনোরম তার দেশের প্রকৃতির রুপ। তাই সকালে সে তার বাবার কাছে গিয়ে জাফলং যাওয়ার কথা বলল। তা শুনে তার বাবা খুবই খুশি হলো। পরের দিন সকালে বিথী ট্রেনে করে তার বাবা-মা ও ভাই তপনের সাথে জাফলং বেড়াতে গেল।
এই ছোট একটি গল্পের মাধ্যমে আমি আমাদের নিজ দেশে অনেক দর্শনীয় স্হান আছে যা আমাদের অদেখা ও অজানা তা তুলে ধরতে চেয়েছি । তাই আমি মনে করি, আমাদের অন্য দেশ ভ্রমণের পূর্বে নিজ দেশ ভ্রমণ করা উচিত।
ভালো লিখছিস বন্ধু। চালিয়ে যাহ।
নিয়া চল জাফলং।যাইতে চাই।
ধন্যবাদ বন্ধু। ইনশাআল্লাহ একদিন যাব।